

চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি কক্সবাজারের উখিয়ায় দারোগা বাজার কিচেন মার্কেটের (৫তলা বিশিষ্ট) নির্মাণকাজ। বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার যৌথ অর্থায়নে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। নির্ধারিত মেয়াদ ২০২৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকলেও চার মাস ধরে কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রকল্পটির কাজ বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবুল বাশার ও মেসার্স জসিম অ্যান্ড ব্রাদার্স। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত নির্মাণস্থলে কার্যক্রম শুরুর কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। দারোগা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু না হওয়ায় তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঈদের আগে দোকান খালি করতে বলা হলেও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গড়িমসির কারণে কার্যক্রম ঝুলে আছে। এতে বাজারজুড়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ী মোসলেহউদ্দিন বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হলে এখন অন্তত প্রাথমিক কাজ শেষ হতো। চার মাস ধরে কিছুই হচ্ছে না দেখে আমরা হতাশ। প্রশাসন ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা যদি আরেকটু আন্তরিক হতেন, তাহলে এত দেরি হতো না। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার আবুল বাশার জানান, বাজারের ব্যবসায়ীরা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন। ঈদের পরে তারা দোকান ছেড়ে দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে টিন দিয়ে অস্থায়ী দোকানের ব্যবস্থা করেছি। ব্যবসায়ীরা স্থানান্তর হলেই দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর সাহেদুল ইসলাম চৌধুরী রোমান বলেন, এই মার্কেটটি হবে একটি অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বাজার। এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। এলজিইডি প্রকৌশলী ও বাজার ইজারাদারের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুততম সময়ে কাজ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, দারোগা বাজার উখিয়া উপজেলার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র। প্রতিদিন হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনায় মুখর থাকে বাজারটি। বাজারে দীর্ঘদিন ধরে পরিকাঠামোগত সংকট থাকায় একটি আধুনিক কিচেন মার্কেট নির্মাণের দাবিও ছিল দীর্ঘদিনের।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেরিতে হলেও যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ শুরু হলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হবে। আর তাতে উখিয়া উপজেলার বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার হবে বলে আশা করছেন সবাই
পাঠকের মতামত